গাজীপুরের টঙ্গীতে অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহরিয়ার হোসেন সৈকতসহ (৩২) ৬ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে টঙ্গীর মাজার বস্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শাহরিয়ার হোসেন সৈকত (৩২), শাহানুর আহমেদ অমিত (১৮), হিরা (৩২), বায়জিদ (২৭), জাহিদ (১৯) এবং নূর ইসলাম (২৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, শটগানের ৪ রাউন্ড বুলেট, হেরোইন, মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহরিয়ার হোসেন গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গাজীপুর এলাকায় ছাত্রদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানায় র্যাব। এ ছাড়া তিনি গাজীপুর মহানগর তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি সৈকত সেলসম্যান হিসেবেও কাজ করতেন।
র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ আহনাফ রাসিফ বিন হালিম জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহরিয়ার হোসেন সৈকত বিভিন্ন সময় মাদক সম্রাট রবিউল ইসলাম বাবুর সহযোগী হিসেবে অস্ত্রসহ টঙ্গী এলাকায় শোডাউনসহ মাজার বস্তির বিভিন্ন স্পটে মাদক ব্যবসা করে। এর আগেও যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় সে পালিয়ে যায়। বুধবার (৯ এপ্রিল) ভোরে র্যাব অভিযান চালিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন সেনকল্যাণ এলাকা থেকে শাহরিয়ার হোসেন সৈকতকে গ্রেপ্তার করে। পরে অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে অস্বীকার করে। একপর্যায়ে তার মোবাইল ফরেনসিক করে মাজার বস্তিতে মাদক বিক্রিসহ, নারীদের ব্যবহার করে হানিট্রাপিং এবং মাদক বিক্রির বিপুল পরিমাণ টাকার ভিডিওসহ ছবির সন্ধান পায়। ওই ছবি এবং ভিডিওর সূত্র ধরে বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে মাজার বস্তির বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে তল্লাশি করে একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পারেন উদ্ধারকৃত রিভলভার ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা। উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি মাদক সম্রাট রবিউল ইসলাম কিং বাবুর মাদক স্পট থেকে পাওয়া যায়। পাশের কয়েকটি মাদক স্পট থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শটগান এমুনিশন পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত রিভলবারসহ আসামিদের পুলিশের কাছে সোপর্দ এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন