নরসিংদীতে এসএম কামরুজ্জামান নামে পুলিশের এক ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ৯৬ কেজি জব্দকৃত মাদক বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে ইতোমধ্যে তার প্রমাণও মিলেছে। তবে অপরাধ ধাপাচাপা দিতে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
জানা যায়, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিঘর আটাশিয়া এলাকায় মনির হোসেনের লটকন বাগান থেকে ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। জব্দ তালিকায় এই গাঁজার মূল্য ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা দেখানো হয়। আদালতের নির্দেশে মাদক ধ্বংস করার কথা থাকলেও কামরুজ্জামান তা না করে মাধবদীর মাদক ব্যবসায়ী মায়া প্রধানের কাছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহকে দায়িত্ব দেন। তদন্তে প্রাথমিকভাবে কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুজ্জামান পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ তোলেন।
তদন্তে জানা গেছে, পুলিশ সুপার অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকায় ডিবির ওসিকে দিয়ে তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। এর মধ্যে দুটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও একটি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার সাহায্যে অনুদান ছিল। তবে, কামরুজ্জামান এই বিষয়টিকে পুঁজি করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়া এসপিগিরি করতে রবিউল নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।
নরসিংদীর একাধিক ব্যক্তি জানান, পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান একজন সৎ ও কর্মঠ কর্মকর্তা। তিনি যোগদানের পর থেকে জেলার অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে নরসিংদীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
নরসিংদীর সচেতন মানুষ জানান, বর্তমানে নরসিংদীতে সাধারণ মানুষ পুলিশ সুপারসহ পুলিশের কাছে নির্বিঘ্নে যেতে পারছে, যা এক সময় ছিল দুর্লভ। পুলিশ সুপার নরসিংদীর জনগণের কাছে একজন সৎ, দক্ষ ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন।
এই বিষয়ে ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান জানান, তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এছাড়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইন্সপেক্টর এসএম কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মন্তব্য করুন