চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সরকারি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ও খালপাড় দখল নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে বশির প্রধানীয়া (৪০) নামে এক কৃষক খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের বহরী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত বশির প্রধানীয়া মৃত বাদশা প্রধানীয়ার ছেলে। বশির এলাকায় কৃষিকাজ করতেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার প্রতিপক্ষ ও অভিযুক্ত রমিজ উদ্দিন বয়াতির বাড়িও একই গ্রামে। বশির ও রমিজ প্রতিবেশী।
পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বহরী গ্রামের কৃষক বশির প্রধানীয়া ও রমিজ উদ্দিন বয়াতীর মধ্যে তাদের বাড়ির পাশে একটি সরকারি খালপাড়ের দখল ও খালের মাছ নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে ইতোপূর্বে ওই দুপক্ষের মধ্যে একাধিকবার তর্ক-বিতর্ক ও মারামারির ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই খালের পাড়ে এ নিয়ে বশির ও রমিজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার দুপুরে ওই সরকারি খালে মাছ ধরতে যান বশির প্রধানীয়া ও তার দুই ছেলে। এতে বাধা দেন রমিজ উদ্দিন ও তার লোকেরা। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় রমিজ উদ্দিন ও তার লোকেরা বশির প্রধানীয়া ও তার ছেলে বিল্লাল হোসেন ও মো. জয়নালকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। এতে অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান বশির প্রধানীয়। সেখান থেকে স্বজনেরা উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বিল্লাল হোসেন ও মো. জয়নালও আহত হন। তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বশির প্রধানীয়ার মেয়ে তাহমিনা আক্তার জানান, খালপাড় দখল ও সেখানে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে তার বাবা ও ভাইদের বেধড়ক পিটিয়েছে রমিজ উদ্দিন ও তার লোকজন। লাঠির আঘাতে তার বাবা মারা যান। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
স্থানীয়রা বলেন, ঘটনার পর থেকে রমিজ প্রধানীয়া ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক আছেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মেদ কালবেলাকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন