নাটোরের লালপুর থানা থেকে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার (৯ এপ্রিল) লালপুর থানার ওসি নাজমুল হক কালবেলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালপুর উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা রুবেল উদ্দিনের বোন রুপা (২৫) ও বৃষ্টি (২০) এবং গোধরা এলাকার আব্দুল হকের ছেলে মাসুদ রানা মজনু (৪৫)।
লালপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদের বাড়িতে গুলি ছোড়ার ঘটনায় লালপুর থানায় বাগাতিপাড়া ও লালপুর পুলিশ তাকে আটক করে। তাকে বাগাতিপাড়া থানায় নেওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশত নেতাকর্মীরা থানায় গিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে থানা হেফাজত ছেড়ে তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায় নেতাকর্মীরা। পরে যৌথবাহিনীর অভিযান চালিয়ে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনের ২ বোন রূপা, বৃষ্টি ও লালপুর উপজেলা গোধরা এলাকা থেকে বিএনপি নেতা মাসুদ রানা মজনুকে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল জানান, বাগাতিপাড়া থানার একটি মামলায় রুবেল উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে লালপুর থানা হেফাজতে রাখলে লালপুর থানা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নামধারী কিছু বিপথগামী কতিপয় নেতাকর্মীরা থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, ঘৃণীত ও দুঃখজনক ঘটনা। এই ধরনের ন্যক্কারজনক কাজে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) লালপুর উপজেলা শাখার ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই ধরনের কাজের জন্য দল কোনোভাবেই দায়ী নয় এবং দায় দায়িত্ব নিবে না। এই ধরনের অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে এই ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ করেছে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশ বাহিনীসহ অনন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের ঊর্ধ্বতন নেত্রীদের এসব দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
লালপুর থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, এ ঘটনায় লালপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রায়হান কবির সুইটসহ ৩৯ জন এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন