চট্টগ্রাম টু কক্সবাজারের চলাচল করা একটি ট্রেনে লাগানো ফ্যানের মধ্যে দুর্গন্ধযুক্ত বাচ্চাদের ডায়াপার দেখা গেছে। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের নজরে দেওয়া হলে এটি সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে দায়িত্বশীলদের মনিটরিং এবং ঠিকাদারের দায়িত্বহীনতার কারণে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সরেজমিন ও যাত্রীদের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম টু কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেসের ‘চ’ বগিতে যাত্রীরা ওঠেন। এরপর ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পর হঠাৎ যাত্রীদের নজরে পড়ে চলন্ত ট্রেনের ওপরে লাগানো ফ্যানের মধ্যে দুর্গন্ধজনিত ডায়াপার। এতে যাত্রীরা দুর্গন্ধের কারণে অস্বস্তির মধ্যে পড়ে। ট্রেনের দায়িত্বশীলদের অনেক খোঁজাখুঁজির পরে সেই ছবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে দেওয়া হয়। এরপর চলন্ত ট্রেনের প্রায় দুঘণ্টা পরে রেলওয়ের একজন স্টাফ উপস্থিত হয়ে সেটি সরিয়ে ফেলেন।
ওসমান আজিজ ও কামাল উদ্দিনসহ একাধিক যাত্রী কালবেলাকে বলেন, ফ্যানের সঙ্গে দুর্গন্ধযুক্ত ডায়াপার লাগানো এটিই প্রথম দেখলাম। গন্ধের জন্য থাকতেও অস্বস্তি লেগেছে আমাদের। এটির দায়িত্বহীনতা এবং সম্পূর্ণ অবহেলার বিষয়। ছোট-বড় সবাই অবাক হলেন বিষয়টি দেখে।
সাকী নামের এক নারী যাত্রী বলেন, এটি দেখে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে মুখে রুমাল দিয়ে সিটে বসতে হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, ট্রেনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নামে লাখ লাখ টাকা বিল দেওয়া হয়, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো আদৌ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ ঠিক মতো করে না। রেলের চিহ্নিত কর্তাদের ম্যানেজ করে নিয়মিত বিল নিয়ে যান।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো সুবক্তগিন কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলাম। যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আমাদের কোনো বিন্দুমাত্র অবহেলা নেই। চেষ্টা করছি সেবা দিতে। এমন কেন হলো সেটা তদন্ত করে দেখব।
মন্তব্য করুন