ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের উপস্থিতিতে সৌদি আরব প্রবাসী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মালুর ছেলে রিফাত মিয়াকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে পরিবারের কাছ থেকে তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের মালুর নিজ বাড়ি থেকে যুবককে তুলে নিয়ে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একটি হাইয়েস গাড়িতে করে আসা ১০/১২ জনের একটি দল প্রথমে প্রধান ফটকের তালা ভাঙার চেষ্টা করে। তালা না ভাঙায় একজন দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেট খুলে দিলে বাকিরাও প্রবেশ করে।
জানা গেছে, ঘটনার আঁচ করতে পেরে শহিদুল ইসলাম নবীনগর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাককে ফোন করে বিষয়টি জানান এবং এলাকায় মাইকিং করার অনুরোধ করেন। ওসি মাইকিং করতে নিষেধ করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তারা দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়। ফলে পুলিশের সামনেই দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায় এবং একপর্যায়ে রিফাত মিয়াকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
এদিনই রাত ৩টার দিকে শহিদুল ইসলামের ফোনে অপহরণকারীরা কল করে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরের দিন ৮ এপ্রিল সকালে রিফাতের মায়ের ফোনে আবার কল দিয়ে মুক্তিপণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা দাবি করা হয়।
শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছি, মাইকিং করার কথা বলেছি কিন্তু ওসি নিষেধ করেন। পুলিশ সামনে থেকেও কোনো বাধা দেয়নি। এখন আমার ছেলের জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। এ ঘটনায় মো. কামাল মিয়া, আবু কালাম আজাদ, কামাল খন্দকারসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক বলেন, অপহরণের শিকার যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মন্তব্য করুন