গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের সময় বাটার শোরুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
গ্রেপ্তাররা হলেন, নোয়াখালী জেলার সবুজের ছেলে সিয়াম খান অনিক (১৮), ময়মনসিংহ জেলার নতুন বাজার বালিপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিমুল আহাম্মেদ শাওন (২০), শরিয়তপুরের নাজিমুদ্দিন মোল্লারকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাহীন (১৯) ও গাছা থানার পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে শোরুমের ম্যানেজার সফিউদ্দিন বাদী হয়ে গাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।
সরেজমিনে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, বোর্ডবাজার এলাকার তৃপ্তি হোটেলের সামনে লোকজনের ভিড়। সামনে পার্কিং করা পুলিশের একটি গাড়ি। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। হোটেলটির সামনের সাইনবোর্ডের একটি অংশ ভাঙা। ভেতরে স্বাভাবিক দিনের মতো কাজ করছেন হোটেল কর্মীরা। পাশের রাঁধুনী হোটেলের সাইনবোর্ডও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
একই স্থানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে মসজিদ সংলগ্ন বাটা শোরুমে ভাঙচুর হয়েছে বেশি। সেখানে সাইনবোর্ডসহ বেশ কিছু জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে।
তৃপ্তি হোটেলের ম্যানেজার ও কয়েকজন হোটেল কর্মী বলেন, সোমবার দুপুরে ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এ সময় কয়েকজন হোটেলে এসে কোকাকোলার বিজ্ঞাপন দেওয়া সাইনবোর্ড খুলে ফেলতে বলেন। এ নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে ঢিল ছুড়ে সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলা হয়। তবে সময়মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চলে আসায় কোনো লুটপাট হয়নি।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, সোমবার বোর্ডবাজার এলাকায় ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের সময় পূর্ব পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তৃপ্তি হোটেল, রাধুনী হোটেল এবং বাটার শোরুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়। এতে বাটা শোরুমের ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ওই শোরুমের ম্যানেজার সফিউদ্দিন বাদী হয়ে গাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন