সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জ ও নলিয়ান কোস্টগার্ডের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ১১০ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও চারজন হরিণ শিকারি পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে দাকোপের ঠাকুরবাড়ি খেয়াঘাট এলাকা থেকে মাংসসহ তাকে আটক করা হয়। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের রেঞ্জ সহযোগী মো. ইসমাইল হোসেন, কালাবগী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ মজুমদার, সুতারখালী স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান মিজানুর রহমান, নলিয়ান কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার রাজু আহমেদসহ বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
গ্রেপ্তার আরিফুল সরদার (২৫) দাকোপ উপজেলার কালীনগর গ্রামের কিনারুল সরদারের ছেলে।
সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা ছদ্মবেশে মাছ শিকারের আড়ালে হরিণ ধরার ফাঁদ পেতে সুন্দরবনে নির্বিকারে হরিণ শিকার করছে। পরে বন বিভাগের সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফাঁদে আটকানো হরিণ জবাই করে মাংস কেটে লোকালয়ে এনে বিক্রি করছে। তবে হরিণ শিকার বন্ধ না হলে প্রকৃতির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। বন্যপ্রাণী পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সুন্দরবনে হরিণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের শিকার করায় পরিবেশের জৈবিক চক্র বিঘ্নিত হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, সুন্দরবনের মতো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের হরিণ শিকার করা সেখানকার জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় ক্ষতি। পরিবেশগত পরিবর্তন এবং বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।
খুলনা রেঞ্জের রেঞ্জ সহযোগী মো. ইসমাইল হোসেন জানান, একটি সংঘবদ্ধ হরিণ শিকারি চক্র সুন্দরবন হতে হরিণ শিকার করে তা বিক্রির জন্য লোকালয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করতে সক্ষম হই।
এ ব্যাপারে সুতারখালী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান মিজানুর রহমান বলেন, আটককৃত আরিফুল সরদার তার সঙ্গে থাকা ৪ শিকারির পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া আটককৃত হরিণের মাংসের ব্যাপারে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন