রংপুরের পীরগাছায় ৯ বছরের প্রতিবন্ধী এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি মো. মাহবুবার রহমানকে (৫০) আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মণীকুণ্ডা বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
এর আগে, গত ২৬ মার্চ বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পীরগাছা থানায় ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে মামলা করা হয়। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন।
আসামি মাহবুবার রহমান এক সময় বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তিনি একই গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে এ রকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা কালবেলাকে জানান, তার মেয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে না। অনেকটা মানসিক প্রতিবন্ধী। মাহবুবার রহমান জমির আবাদ দেখাশোনার সুবাদে প্রতিনিয়ত শিশুটির বাড়ির পাশে আসা-যাওয়া করেন। গত ২৬ মার্চ সকালে তিনি তার মেয়েকে বাসায় রেখে কাপড় ধুতে পার্শ্ববর্তী পুকুরে যান। হঠাৎ মেয়ের চিৎকারে বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখেন তার মেয়েকে মাহবুবার রহমান ধর্ষণের চেষ্টা করছেন। ঘটনা দেখে তিনি চিৎকার দিয়ে মানুষজনকে ডাকলে মাহবুবার ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
শিশুটির মা আরও জানান, এর আগেও তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন মাহবুবার। সে সময় মান-সম্মানের ভয়ে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আপোষ-মীমাংসা করে দেওয়ায় তারা আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তবে এবার তিনি আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পীরগাছা থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী কালবেলাকে জানান, আসামি মাহবুবার রহমানকে তারা গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়েছেন। এরই মধ্যে সোমবার রাতে স্থানীয়রা তাকে আটক করে খবর দিলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় আনে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন