লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় নুরুল আমিন (৫০) নামের এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নুরুল আমিন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সেলিম উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে তোরাবগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নুরুল আমিনের সঙ্গে প্রতিবেশী সেলিম উদ্দিনের টাকাপয়সার লেনদেন ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হতো।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়ির সামনে চা-দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন নুরুল আমিন। এ সময় সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৮-১০ যুবক তার ওপর হামলা চালান। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। তাতে নুরুল আমিনসহ অন্তত ছয়জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক নুরুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন বলেন, নুরুল আমিন তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেলিমের সঙ্গে কিছু টাকাপয়সা লেনদেনকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালানো হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে কমলনগর থানার ওসি মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সেলিম উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতির পাশাপাশি জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন