সিলেটে ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের অনেক পরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নাশকতা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ভাটি পাড়া এলাকার মো. রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন, সুনামগঞ্জের হাছানগর ও কাজীটুলার আরব আলী ছেলে ইমন, কাজীটুলার দ্বীন ইসলামের ছেলে মো. রাকিব, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ভাটিপাড়া বাসিন্দা ও সওদাগরটুলার লাল মঞ্জিলের বাসিন্দা মৃত আবুল বাশারন মো. আব্দূল মোতালেব (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ভাটিপাড়া বাসিন্দা ও কাজীটুলার বাসিন্দা লাল সাদ আহমদের ছেলে মিজান আহমদ (৩০), সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ভাটিপাড়া ও গোয়াইটিলা বাছির মিয়ার কলোনীর বাসিন্দা সাব্বির আহমদ (১৯), সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের ফরিদ মিয়ার ছেলে জুনাইদ আহমদ (১৯), কুমিল্লার শাখপুরের বাসিন্দা মো. রবিন মিয়া (২০), নোয়াখালীর সৈয়দ আল-আমিন তুষার (২৯), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ছাইদলের বাসিন্দা মহছন মিয়ার ছেলে মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের আব্দুল ছাত্তারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), শেখঘাট পিছের মুখ কলাপাড়ার বাসিন্দা মো. রিয়াদ (২৪), বালুচর নতুন বাজারের বাসিন্দা দেলোয়ার ছেলে মো. তুহিন (২৪), বটেশ্বর বাজারের বাসিন্দা সেলিম রেজার ছেলে আল নাফিউ (১৯)।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা চালানোর প্রতিবাদে সারা দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটেও প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচি শেষে কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা কেএফসি, বাটা, ইউনিমার্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকা ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনাসাপেক্ষে ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জুতা লুটের পর বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেজে এসব জুতা বিক্রির বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। অভিযান চালিয়ে এসব জুতাও উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে সোমবার (০৭ এপ্রিল) সিলেটে বিক্ষোভ মিছিলের অনেক পরে কিছু লোক কেএফসি রেস্টুরেন্ট, বাটা শোরুম, ইউনিমার্ট, ফিজা হার্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নাশকতা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। জুতা লুটের পর বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেজে এসব জুতা বিক্রির বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। এরপরই ওই ১৪ জনকে আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন