গাজীপুরের টঙ্গীতে আলীমুল ইসলাম নামের এক পোশাক শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় শামসুদ্দিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) নিহতের ভাই খাইরুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এর আগে রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে মুদাফা এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
নিহত আলীমুল ইসলাম নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার ময়নাগুটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি টঙ্গীর আদি মুদাফা এলাকায় ভাড়া থাকতেন এবং স্থানীয় মজুমদার গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গ্রেপ্তার শামসুদ্দিন মুদাফা সৈয়দ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, ছিনতাই হওয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য আলীমুল, শামসুদ্দিনসহ কয়েকজন উত্তরা প্রবর্তন সিটি এলাকায় যান। সেখানেই কোনো একপর্যায়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলীমুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তারানা বিনতে আনোয়ার বলেন, রাত ৮টার কিছু পর তাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হই, তিনি আগেই মারা গেছেন। তার বুকে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাত ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উত্তরা প্রবর্তন সিটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চললেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে এসব নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এ এলাকায় সন্ধ্যার পর চলাফেরা করাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝেই ছিনতাই, চুরি হয়, কিন্তু কেউ ব্যবস্থা নেয় না।
সেখানকার বাসিন্দা সুলতানা আক্তার বলেন, প্রবর্তন সিটি আবাসিক এলাকায় বহিরাগতদের যাতায়াতের কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। বহিরাগতরা সহজেই ভেতরে ঢুকে পড়ে। পুলিশি টহল বাড়ানো এবং নিরাপত্তা প্রহরীদের তদারকি না করলে এমন ঘটনা আরও ঘটবে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার বিষয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এ মামলায় শামসুদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন