মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১
আশাশুনি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাতক্ষীরায় ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত আ.লীগ নেতা কোপাত মোড়ল গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগ নেতা কোপাত মোড়ল। ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ নেতা কোপাত মোড়ল। ছবি : সংগৃহীত

সাতক্ষীরা ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা কোপাত মোড়লকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) রাতে তার নিজ গ্রাম আশাশুনির গোকুলনগরের রুলামিন নামে এক আ.লীগ কর্মীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেন।

জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালানোর দিন ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে কোপাত বাহিনীর ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। ঘটনার দিনই পালিয়ে যায় কোপাত ও তার দলের সদস্যরা। কিন্তু সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু এলাই ডাকাতের মৃত্যুর পর সেই বাহিনীর হাল ধরে ছোট ভাই কোপাত ডাকাত। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের হয়ে ডাকাতি-লুটপাটের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কোপাত বাহিনীকে সব ধরনের সহায়তা দিতেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। কোপাতকে আইনের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও বানান তিনি। জুলাই আন্দোলনের সময় জাকির হোসেনের নেতৃত্বে আন্দোলন মোকাবিলায় সব রকম তৎপরতায় জড়িত ছিল কোপাত বাহিনী।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নাকনা গ্রামে মিছিল বের করেন ছাত্র-জনতা। সেই মিছিলে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে হামলা চালায় কোপাত বাহিনী। মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে তিনজনকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ২০ জন। পরে উত্তেজিত জনতা জাকিরের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়। এসময় জাকির নিহত হয়। তখন কোপাত বাহিনীর প্রধানসহ অন্যরা বাড়ি থেকে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।

এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার পর পালিয়ে গেলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরেছেন। এলাকায় ফিরে মধ্যম একসরা গ্রামের খোরশেদ শিকারি, নাংলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মন্টু, গোকুলনগর গ্রামের সেলিম রেজা, রেজাউল করিম সরদার ও আব্দুল্লাহ সরদারসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল গঠন করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোপাত বাহিনীর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে আশাশুনি থানায় বহু মামলা রয়েছে। ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনায় তাদের নাম উল্লেখ করে হওয়া যেসব মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে আশাশুনি থানায় মামলা নং ১১/২৯৬, ৪৩/২৪, ৬৩/২৪, ১২৩/২৪ ও ১২৪/২৩ অন্যতম। এছাড়া নন-জিআর মামলায় পরোয়ানা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে কোপাত ডাকাতি মামলায় একাধিকবার কারাগারে গেলেও দলীয় প্রভাবে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নোমান হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোপাত মোড়লকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

থানা নিরাপত্তা দেওয়া স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বিল্লাল এখন রিমান্ডে

শোরুমে হামলা নিয়ে বাটার বিবৃতি

ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : প্রিন্স

সড়ক নির্মাণে বিএসএফের বাধা

বানরের রুটি ভাগের খেলায় মেতেছেন আরবের শেখরা

শাহ আমানত বিমানবন্দরে কোটি টাকার সোনা জব্দ

বিতর্কিতদের নিয়ে খুলনায় বিএনপির কমিটি, তৃণমূলে ক্ষোভ

সিলেটসহ অন্যান্য স্থানে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

৮ জেলায় তাণ্ডব

বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলেন ইউএনও

১০

বন্ধুকে নিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণচেষ্টা, অতঃপর...

১১

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে হামলা, ৬ দিনেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

১২

টঙ্গীতে ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক নিহত, গ্রেপ্তার ১

১৩

চট্টগ্রামে জোড়া খুন, ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার আরও একজন

১৪

‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ স্থগিত

১৫

সিইপিজেডে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

১৬

শান্ত-মিরাজদের ফিল্ডিং কোচ প্যামেন্ট

১৭

গাজার জন্য প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে মাশরাফীর স্ট্যাটাস

১৮

সিলেটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আটক ৩

১৯

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের গুরুতর অভিযোগ

২০
X