সৌদি আরব থেকেও বরিশাল থানায় দায়ের হওয়া ছিনতাই মামলার আসামি হয়েছেন আপন দুই ভাই। তারা হলেন- রেজাউল করিম ও রাজিবুল ইসলাম। গত ২৭ মার্চ নগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় এ মামলাটি করেছেন মাহামুদা বেগম নামে এক নারী।
এর আগে একই দিন (২৭ মার্চ) দুপুরে নগরীর সোনা মিয়ার পোল এলাকায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে মোটরসাইকেলচালক আমিনুল মৃধা ও অটোরিকশাচালক ইমন হাওলাদারের তর্কবিতর্কের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় নগরীর রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের আবুল বাশারের স্ত্রী অটোরিকশা মালিক মাহামুদা বেগম ওই দিনই থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় মোটরসাইকেলচালক আমিনুল ও তার চার ভাইকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে দুজন আসামি বিদেশে, দুজন নগরীতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিল বলে দাবি প্রধান আসামি আমিনুলের।
আসামিদের কেউ নিরাপরাধ হলে তদন্ত শেষে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন সিকদার।
এদিকে বিদেশে থাকা দুই ভাইকে মামলা থেকে বাঁচাতে প্রধান আসামি আমিনুলের কাছে বাদী ১০ লাখ টাকা চেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলার নথিতে মোবাইল নম্বর ভুল দেওয়ার কারণে বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মোটরসাইকেল পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে তর্কবিতর্ক হয় মোটরসাইকেলচালক আমিনুল ও অটোচালক ইমনের মধ্যে। তখন অটোচালক ইমনের স্ত্রী শিরিনও তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, চালক ইমন তার অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে সোনা মিয়ার পোল অতিক্রমকালে প্রধান আসামি আমিনুল তার গতিরোধ করেন। এরপর সব আসামি যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে অটোচালক ইমন তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। এ সময় আসামিরা ইমনকে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধর করে। তখন অটোচালক ইমনকে রক্ষায় স্ত্রী শিরিন আক্তার এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। এ সময় একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি আমিনুল মৃধা বলেন, মিথ্যা মামলায় বিদেশে থাকা আমার দুই ভাই রেজাউল করিম ও রাজিবুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার আরও দুই ভাই হুমায়ন মৃধা ও নজরুল মৃধা ঘটনার সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকলেও তাদের আসামি করা হয়েছে। বিদেশে থাকা দুই ভাইকে রক্ষায় বাদী ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির হোসেন শিকদার বলেন, মামলা যে কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধেই দায়ের হতে পারে। মামলার তদন্ত শেষে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের আইনানুযায়ী অব্যাহতি দেওয়া হবে। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন