গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় বাঁশের লাঠি আঘাতে রুহুল আমিন (৪২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে স্বজনদের অভিযোগ। এ ঘটনার পর অভিযুক্তদের বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
রোববার (৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চন্দিয়া (নয়াপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুহুল আমিন ওই গ্রামের মৃত্যু আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি একটি ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন বলে জানা গেছে।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নয়াপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমান ও এনামুল মিয়ার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে রুহুল আমিনের বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে রোববার বিকেলে বাড়ির সামনে রুহুল আমিনের সঙ্গে আনিছুর রহমানের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর সেখানে এসে মজনু মিয়া, মাহতব ও এনামুলসহ কয়েকজন রুহুল আমিনকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে এনামুল তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে রুহুল আমিনের মাথা ও শরীরে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় রুহুল আমিনের।
এদিকে এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে রুহুল আমিনের স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে তারা অভিযুক্ত আনিছুর রহমান ও এনামুলের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র বের করে ভাঙচুরসহ তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় আনিছুর ও এনামুলসহ পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা ফাহমিতা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ ছিল তাদের দীর্ঘদিনের। এ রকম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করছি।
ফুলছড়ি থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন রুহুল আমিনকে মারধর ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন