নীলফামারী আদালতে হাজির হতে এসে জনরোষের মুখে পড়েছেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফতাব উদ্দিন সরকার। ডোমারের পৃথক দুটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যান তিনি।
রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আফতাব উদ্দিন সরকারকে জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নীলফামারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২-এর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ সময় আদালত চত্বরে বিক্ষুব্ধ কিছু মানুষ ভুয়া, ভোট চোর ও খুনি স্লোগান দিয়ে আফতাব উদ্দিন সরকারকে কিল-ঘুসি মারার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ সদস্যরা তাকে নিরাপদে আদালতে হাজির করান। এরপর আদালত থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ লোকজন আবারও তাকে কিল-ঘুসি মারার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দ্রুত তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়। এ সময় প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে ধুলাবালি নিক্ষেপ করেন বিক্ষুব্ধরা।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, রংপুরের একটি মামলায় সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। রোববার নীলফামারীর দুটি মামলায় পুলিশ তাকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করেছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাকে আদালতে হাজির করে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। পরে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খালেদা জিয়ার ভগ্নিপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িবহরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আফতাব উদ্দিন সরকারসহ আওয়ামী লীগের ৪৩ নেতাকর্মীর নামে আদালতে মামলা করেন জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের ১৪ মার্চ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ বিন আমিন সুমনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে থানায় ব্যাপক নির্যাতনসহ ওসির মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আফতাব উদ্দিন সরকার ও ডোমার থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে আদালতে মামলা করেন যুবদল নেতা সুমন।
মন্তব্য করুন