জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে মসজিদে যাতায়াতের সরকারি রাস্তা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধে কবরস্থানে লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বেপারীপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত লাল মাহমুদ গং তাদের বসতবাড়ির পাশ দিয়ে মসজিদে যাওয়ার সরকারি হালট জোরপূর্বক দখল করে নেন। পরে এলাকাবাসী বাধা দিলে তাদের বিএনপি সমর্থিত অপবাদে হামলা-মামলার হুমকি প্রদান করেন তারা। পরে এ ঘটনার সূত্র ধরেই দীর্ঘদিন ধরে সমাজের মধ্যে দুই গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। আর এই বিরোধকে কেন্দ্র করেই শনিবার সকালে সমাজের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দেলোয়ার হোসেন ইমামুল নামে এক ব্যক্তির লাশ দাফন করতে বাধা সৃষ্টি করেন লাল মাহমুদ গং।
পরে এই নিয়ে মৃত ব্যক্তির ছোটভাই ওয়াজ করনীসহ জানাজায় আসা ব্যক্তিরা ব্যাপক উত্তেজিত হযন এবং হট্টগোল লাগে। পরে নিরুপায় হয়ে লাল মাহমুদ গং লাশ দাফনের অনুমতি দেন।
পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ভুক্তভোগী ওয়াজ করুনী বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মসজিদের ইমাম সাহেব সুদ-ঘুষের ওয়াজ করায় তাকে অপমান-অপদস্ত করে মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন তারা। পরে এই নিয়ে সমাজবাসী প্রতিবাদ করায়, তারা সমাজের ১৫০ ঘর মানুষের মধ্যে আমাদের ১২০ ঘর মানুষকে আলাদা করে দেয়। তবুও আমরা আলাদা কোনো সমাজ গড়িনি। বিগত দিন থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত আমরা তাদের অন্যায়-অবিচার জুলুম-অত্যাচারে নিপীড়িত। তাই আমরা আজ প্রতিবাদী হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি। আমরা সরকারের কাছে এ অত্যাচারী, জুলুমকারীদের বিচার চাই।
অভিযুক্ত লাল মাহমুদ বলেন, আমরা যাতায়াতের কোনো রাস্তা দখল করিনি এবং লাশ দাফনে বাধাও দিইনি। তারা মিথ্যা বলেছে।
সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন