জয়পুরহাটের কালাইয়ে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের আভিযোগ উঠেছে মতিউর রহমান নামের এক মুদি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলা যুবলীগের নেতা মুকুল হোসেনের নেতৃত্বে এ কাজ করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
মুকুল হোসেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি।
সরেজমিনে উপজেলার পুনট পূর্বপাড়া রাস্তা সংলগ্ন পুনটহাটের পূর্ব পাশের মুদিপট্টি এলাকায় কয়েকজন ইমারত নির্মাণ শ্রমিককে ইট দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে দেখা যায়। নির্মণাধীন স্থাপনাটির দক্ষিণে রাস্তার ওপর রাখা হয়েছে বালুর স্তূপ। আর দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে কিছু ইট ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে ইমারত নির্মাণ শ্রমিককে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন ওই নির্মাণাধীন স্থাপনার মালিক মুদি ব্যবসায়ী মতিউর রহমান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, কালাই উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি, প্রভাবশালী মুকুল হোসেনের নেতৃত্বে মতিউর রহমান ওই স্থাপনাটি নির্মাণ শুরু করেছেন। এভাবে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলতে থাকলে, সরকারি হাটের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত দেখা দিতে পারে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিও ঘটতে পারে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকারি খাস জায়গাতে কেউ প্রভাব খাটিয়ে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না।
অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা মকুল হোসেন বলেন, মতিউর রহমান আমার এলাকার লোক। তার পুরোনো দোকানে মাঝে মধ্যে বসতাম। তবে এখন তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
অভিযুক্ত মতিউর রহমান জানান, এ জায়গায় আগে তার একটি টিনের দোকান ঘর ছিল। সেখানে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা করছেন তিনি। ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তাই শুক্রবার থেকে তিনি ইট, বালু ও সিমেন্ট দিয়ে স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। এ বিষয়ে অনুমতি চেয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান দৈনিক কালবেলাকে বলেন, এ বিষয়ে আমি শুক্রবার একটি আবেদনপত্র হাতে পেয়েছিলাম। আবেদনকারী মতিউর রহমানকে কাজ না করার কথা বলেছিলাম। তারপরেও যদি কাজ করে থাকে তাহলে ওই নেতা ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন