আদালতের আদেশ অমান্য করে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আদালতে সাক্ষী দিতে না আসায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জীবন চৌধুরী নামে একজনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বান্দরবান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করা হয়েছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) আদালতের নির্দেশের বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে গত ১৯ মার্চ বান্দরবানের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এসআই জীবন চৌধুরী বান্দরবান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানায় কর্মরত আছেন।
আদালতের আদেশনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর এসআই জীবন চৌধুরীকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করা হয়। ওই দিন হাজির না হওয়ায় পরবর্তীতে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সাক্ষী পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু তিনি আদালতের আদেশ অমান্য করে নির্ধারিত তারিখে সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি।
এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪৮৫-ক অনুযায়ী কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চান আদালত। এ ছাড়া আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতেও বলা হয়। কিন্তু তিনি নির্ধারিত তারিখে আদালতে অনুপস্থিত থেকে পুনরায় আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এসআই জীবন চৌধুরীকে আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে আদেশ অমান্য করার বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন আদালত।
একই সঙ্গে, আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক কোর্ট সার্টিফিকেট গ্রহণ না করা পর্যন্ত এসআই জীবন চৌধুরীর বেতন বন্ধ রাখার জন্য চাঁদপুর জেলার জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এবং মতলব উপজেলার উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আদালত চাঁদপুরের পুলিশ সুপারকে এসআই জীবন চৌধুরীর বেতন বন্ধের বিষয়টি কার্যকর করে আদালতকে জানানোর জন্য নির্দেশ দেন। আদেশের কপি পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, চাঁদপুর ও বান্দরবানের পুলিশ সুপার, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন