গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাতে টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিএনপি নেতা মুক্তাদির রহমান লিপুর নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- ডিম ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দিন (৩৮), তার স্ত্রী শারমিন (২০), ইমরান (২৭), মোহাম্মদ সাগর (৩০), আব্দুস সামাদ, মোহাম্মদ সাকিব (২২), নুরুল ইসলাম, মুক্তা (৪০), সৌরভ (৪), মিন্টু (৩২) ও আশেক (৫৪)। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন মনির (৫৪) ও শিশু লামিয়া (৭)। গুরুতর আহত সাগরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলা, ভাঙচুরসহ নানা অপকর্ম করে আসছিলেন বিএনপি নেতা মুক্তাদির হোসেন লিপুর অনুসারীরা। এর জেরে সোমবার রাতে মতি, ভাগনে রুবেল, বিপ্লব, কামরুল, রাশেদ ও মানিকসহ কয়েকজন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাগরের বাড়িতে হামলা চালায়। সাগরকে বাসায় না পেয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর করে তারা। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘরেও ভাঙচুর চালানো হয়।
আহত মুক্তাদির বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ, আমাদের ওপর এভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।
আহত সাগর বলেন, আমার বাসায় ঢুকে স্ত্রী-সন্তানকে প্রথমে মারধর করা হয়েছে। পরে আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমাকে দেখা মাত্র বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আমি ন্যায়বিচারের আশায় থানায় অভিযোগ করেছি। আশা করি, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে মুক্তাদির হোসেন লিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মদ খাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে আমি শুনেছি। এ ঘটনায় আমি জড়িত না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মূলত ওরা সবাই মাদক কারবারি।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন