জুলাই আন্দোলনে শহীদ কুমিল্লার দেবিদ্বারে জহিরুল ইসলাম রাসেলের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় রাসেলের শিশুকন্যা জুমাকে কোলে নিয়ে আদর করেন তিনি। পরে রাসেলর মায়ের কাছে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি।
সোমবার (৩১ মার্চ) জুলাই আন্দোলনে শহীদ কুমিল্লার দেবিদ্বারে জহিরুল ইসলাম রাসেলের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শহীদ জহিরুল ইসলাম রাসেল দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মৃত শাহ আলম সরকারের একমাত্র ছেলে। আন্দোলনের সময় তিনি ছৈয়দপুর কামিল মাদ্রাসায় ফাযিল দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। পাশাপাশি ঢাকায় একটি জুতার সোল্ডার কারখানায়ও কাজ করত। তিনি ঢাকায় শহীদ হন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবে সারা দেশের মতো এই দেবিদ্বারেও অসংখ্য মানুষ ফ্যাসিস্টদের হাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। সরকার এ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার বাস্তবায়নে কাজ করছে। শহীদ রাসেলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি, খোঁজখবর নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সকল শহীদের বাড়িতে যাব। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর প্রথমবার ঈদুল ফিতরের নামায গ্রামবাসীর সঙ্গে আদায় করতে পেরেছি। গ্রামের মানুষ যে আমাকে এত ভালোবাসে ঈদগাহে না আসলে বুঝতে পারতাম না। আমরা একটি ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশ গড়তে চাই। বক্তব্যে তিনি আগামীতে দেবিদ্বারবাসী ঐক্য ও সাম্যের দেবিদ্বার গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এদিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে হাসনাত লেখেন, ‘আমরা দেবিদ্বারের রসুলপুর ইউনিয়নের ভায়েরা, এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, মন খুলে প্রভুর দরবারে প্রার্থনা করি। এই এক মুহূর্তেই ভুলে যাই সব বিভেদ, সব ভেদাভেদ। আমাদের ঈদের জামাত শুধু নামাজ নয়, এটা আমাদের ঐক্যের প্রতীক, আমাদের ভালোবাসার বন্ধন। সবাইকে ঈদ মোবারক।’
মন্তব্য করুন