ঈদুল ফিতরের দিনেই পর্যটকের ঢল নেমেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র- জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি ও পান্তমাইয়ে। আর এতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে উপজেলার সবকটি পর্যটনকেন্দ্র।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন থেকেই উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় দেখা গেছে ভ্রমণপ্রিয়দের।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে স্বচ্ছ পানির জলরাশি সাদা পাথর ও সাত পাহাড়ের মিলন মেলা ওপারের ঝুলন্ত ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন দর্শনার্থীরা। উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, সোয়াম ফরেস্ট রাতারগুল ছাড়াও পান্তুমাই মায়াবী ঝর্ণা, জাফলং চা বাগানে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সিলেট খাদিম নগর থেকে ঘুরতে আসা কয়েকজন পর্যটক জানান, পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জলের সমাহার দেখে তারা বিমোহিত হয়েছেন। পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে তারা এসেছেন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
তবে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের ভিড় ছিল জাফলংয়ে। যাদের বেশির ভাগ দর্শনার্থীই ছিলেন তরুণ-তরুণী। এর মধ্যে স্থানীয়রাই বেশি।
জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই এখানে দল বেঁধে পর্যটকেরা ঘুড়তে এসেছেন। নদীতে নেমে কেউ কেউ গোসল করতে ব্যস্ত। আর অনেকে বল্লাঘাট থেকে নৌকা পার হয়ে খাসিয়া পল্লি ও চা বাগানে যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
এদিকে পর্যটকদের চাপে এখানকার হোটেল-মোটেলগুলো বুকিং হয়ে গেছে। ব্যস্ততা দেখা গেছে রেস্টুরেন্টগুলোতেও। পর্যটকের সমাগমে খুশি এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এবার অন্যান্য ঈদের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। ঈদের দিন থেকে পর্যটক বেড়াতে আসছেন। এতে ভালো বেচা-কেনা হচ্ছে।
জাফলং পর্যটন কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসন মিয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষে জাফলংয়ে অনেক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও ভালো হয়েছে। কাল থেকে পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।
পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে টুরিস্ট পুলিশ, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ঈদের ছুটিতে সকাল থেকেই পর্যটকে মুখরিত ছিল জাফলং। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকরা বেড়াতে এসে যাতে কোনোভাবেই ভোগান্তিতে না পড়েন, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।
মন্তব্য করুন