নরসিংদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে চারজনকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে নরসিংদী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নরসিংদী মডেল থানার ওসি মো. এমদাদ হোসেন বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, নরসিংদী শহরের বানিয়ারসল মহল্লার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক রমজান মিয়া, তার ছেলে রিফাত, ঝগড়া থামাতে যাওয়া মুহিম ও ফয়সাল।
আহত রিফাত জানান, তার বাবা রমজান মিয়া যাত্রী নিয়ে বাসস্ট্যান্ড যাচ্ছিলেন। অটো রিকশাটি হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে অটোর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে অটোচালক রমজান মিয়ার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল চালক ও অটোচালকের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে মোটরসাইকেল চালক ফোন করে সন্ত্রাসীদের নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা গিয়ে দা ছুরি চাপাতি দিয়ে এলোপাথারী কোপাতে থাকে। এ সময় তাদের বাঁচাতে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। অন্ত্রের আঘাতে চারজন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চারজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একজনের কাটা আঙুল উদ্ধার করেন।
সদর হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. অসিম কুমার সাহা জানান, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা-ছেঁড়াসহ মাল্টিপুল ইনজুরি নিয়ে চারজন হাসপাতালে এসেছে। এর মধ্যে ফয়সাল নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদ মডেল থানার ওসি মো. এমদাদ হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের কাজ শুরু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন