কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে সকাল ১০টায় ১৯৮তম ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে মানুষের ঢল নেমেছে। ভোর থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহে প্রবেশের পথ শহরের পুরানথানা থেকে গাছ বাজার, আজিম উদ্দিন স্কুল থেকে বনানী মোড়, সতাল থেকে পুরান থানা, রগুখালি থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহসহ মাঠের আশাপাশের অলিগলির সড়কগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই।
এবার জামাতে ইমামতি করবেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। নামাজ শেষে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হবে।
ভোর থেকেই শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। কেউ গাড়িতে চড়ে, কেউ ইজিবাইকে, কেউ সাইকেলে, কেউবা হেঁটে আসছেন। প্রতিবারের মতো এবারও মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
একটি ট্রেন ভৈরব থেকে, অন্যটি ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে এসেছে। বড় জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়; এই বিশ্বাস থেকে লাখ লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এবারও দেশের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সাজানো হয়েছে সব আয়োজন। নারীদের জন্য সূর্যবালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় সাত একর আয়তনের ঈদগাহের মূল মাঠে ২০৬ টি কাতার রয়েছে। মূল মাঠের পাশে রাস্তা ও বাসা বাড়ির ছাঁদ, পুকুর পাড়, সেতুতে আরও মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, মাঠ ও মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ড্রোন ক্যামেরাসহ পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। নামাজের সময় ১১ শ পুলিশ সদস্য, ৫ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব সদস্য ছাড়াও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও আনসার সদস্যরা মাঠ ও মাঠের বাইরে মোতায়েন থাকবেন। সাদা পোশাকে নজরদারি করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। রয়েছে ফায়ার ব্রিগেড, তিনটি অ্যাম্বুলেন্স, মেডিক্যাল টিম ও পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। ঢাকা থেকে এসেছে বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
উল্লেখ্য, রেওয়াজ অনুযায়ী বন্দুক থেকে গুলি করে ঈদ জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হবে। জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দুটি এবং পাঁচ মিনিট আগে একটি গুলি শটগান থেকে ছোড়া হবে
মন্তব্য করুন