চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে বৃদ্ধ এক যাত্রীকে মারধরের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলস্টেশন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
রোববার (৩০ মার্চ) বিকেল ৪ টায় স্থানীয় লোকজন কসবা রেলস্টেশনে জড়ো হলে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে অভিযুক্ত রেলওয়ের কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
স্থানীয় লোকজন, উপজেলা প্রশাসন ও কসবা রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ফুল মিয়া দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কসবায় আসছিলেন। তিনি কসবা পর্যন্ত আসনবিহীন টিকিট কেটে ট্রেনের পাওয়ার কার বগিতে ওঠেন। বেলা আড়াইটার দিকে ট্রেন চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথের ফেনী রেলস্টেশনে পৌঁছালে পাওয়ার কার অপারেটর কাউসার মিয়া তার (হেলাল) কাছে এসে টিকিট আছে কি না জানতে চান। আসনবিহীন টিকিট থাকার কথা বললে কাউসার তার কাছে ২০০ টাকা চান। টিকিট আছে টাকা কেন দেবেন বললে খেপে গিয়ে তাকে মারধর শুরু করেন তিনি। এরপর বৃদ্ধ ফুল মিয়ার কাছে ঘটনা শুনে মুঠোফোনে ভিডিও করে ফেসবুকে পোস্ট করেন ট্রেনে থাকা কসবার আরেক যাত্রী। স্থানীয় লোকজন ট্রেনের উপকূল ট্রেনের একটি ফেসবুক পেজেও সেই ভিডিও পোস্ট করেন। মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী হেলাল বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দ্রুত ট্রেনে উঠায় সিট পাইনি, তবে স্ট্যান্ড টিকিট ছিল। তখন সাদা পোশাকধারী পাওয়ার কার বয় কাউছার আমার কাছে ২০০ টাকা দাবি করে। তখন আমি টিকিট দেখালে সে ও তার সঙ্গীরা মিলে আমায় কিল ও ঘুসি মারে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
কসবা রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, কসবার একজন যাত্রীকে মারধর করায় সকলে উত্তেজিত হয়ে স্টেশন অবরোধ করায় ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেসকে এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখতে হয়েছে। পরে প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় ট্রেনটি ১ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, থানা-পুলিশ ও সেনাসদস্যরা কসবা রেলস্টেশনে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ট্রেন কসবা রেলস্টেশনে পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন ও ট্রেনের পরিচালকসহ অন্যদের কথামতো কাউসার বৃদ্ধ ফুল মিয়ার কাছে ক্ষমা চান। কাউসারকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে জানালে স্থানীয় লোকজন শান্ত হন। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে ট্রেন কসবা রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।
মন্তব্য করুন