গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক দম্পতিসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। রোববার (৩০ মার্চ) সকালে ঢাক-টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চারজনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার ঘোড়িয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (২৮)। আহতরা হলেন নিহত দম্পতির ছয় বছরের মেয়ে ও এক বছরের ছেলে। অপর তিনজন হলেন,কোনাবাড়ী এলাকার এনামুল (৩০), মানিকগঞ্জ জেলার ধামরাইয়ের অজিত চরণ (৪৫) ও তার বাবা গোঙ্গাচরণ (৮০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে একটি অটোরিকশা উল্টো পথে আসছিলেন। এ সময় তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রার দিকে আসার সময় কোনাবাড়ী দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় আসলে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। গুরুতর আহত স্বামী-স্ত্রী, দুই সন্তান চালকসহ ৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান নাজমুল হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর নাজমুল হোসেন ও তার স্ত্রীকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে আনার সময় পথেই তারা মারা যান। তাদের সন্তান দুই জনকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সকালে তারা বাড়ীর উদ্দেশ্য টাঙ্গাইল আসার জন্য অটোরিকশায় করে কোনাবাড়ী দিকে যাচ্ছিলেন। নিহতরা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতেন।
অপরদিকে, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাছা থানার সাইবোর্ড এলাকায় সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত এক পথচারীর মৃত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাছা থানার এসআই কামরুজ্জামান লিটন।
কোনাবাড়ী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি তাকওয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তিনজনের বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন