যমুনা সেতুর ওপর একাধিক গাড়ি দুর্ঘটনা ও বিকল এবং অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে যমুনা সেতু পূর্ব পাড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাত থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সেই যানজট রোববার (৩০ মার্চ) মধ্যরাত থেকে সৃষ্টি হলে সেটি সকাল সাড়ে ৭টায় স্বাভাবিক হয়ে যায় ।
এদিকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামাল দিতে শনিবার মধ্যরাতে ও রোববার (৩০ মার্চ) সকালে যমুনা সেতুর ঢাকাগামী লেন বন্ধ করে দিয়ে একযোগে চার লেন দিয়ে উত্তরগামী যানবাহন পারাপার করে সেতু কর্তপক্ষ।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল পাভেল জানিয়েছেন, রাতে সেতুর ওপর তিনটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। অন্যদিকে দুইটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। পরে এসব গাড়ি সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে যানজট নিরসনে রাতে ও সকালে দুই দফায় ঢাকাগামী যানবাহনগুলো সিরাজগঞ্জ প্রান্তে আটকে সেতু দিয়ে শুধু উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পারাপার করা হয়। এতে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, সেতুর উপর দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সরিয়ে নিতে সময় লাগায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যানজট নিরসনে কাজ করে পুলিশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কমে যায়।
এছাড়াও শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টা হতে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা।
মন্তব্য করুন