র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা তিন পর্বের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ঈদপূর্ব, ঈদের দিন ও ঈদপরবর্তীতে এই নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ঈদপূর্ব কার্যক্রম রমজান মাস থেকে শুরু হয়েছে। এ সময়ে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধগুলো যাতে করতে না পারে সে জন্য আমরা টহল, গোয়েন্দা তৎপরতাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে নিরাপত্তাব্যবস্থা করে যাচ্ছি।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ১২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় চেকপোস্ট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলে।
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ঈদের সময় ঘরমুখী মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে সেজন্য আমরা মহাসড়কে, বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশনে ও লঞ্চঘাটে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছি। এ ছাড়া ঢাকাসহ সকল মেট্রোপলিটন এলাকা এবং অন্যান্য জেলা শহর এবং উপজেলাতেও আমাদের টহল তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এবারের ঈদে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে যেতে পারে সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সাধারণত এই সময়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মলমপার্টি-অজ্ঞানপার্টির তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। এরা যাতে কোনো রকম অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে জন্য আমরা সচেষ্ট আছি। আর ঈদের দিনে জাতীয় ঈদগাহসহ সারা দেশে যত বড় বড় ঈদের জামাত হয় সেখানে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকবে। এর পাশপাশি ঈদের দিন থেকে শুরু করে বন্ধের দিন পর্যন্ত বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের মধ্যে বিশালসংখ্যক নারী ও শিশু থাকে। বিনোদনকেন্দ্রগুলোতেও তাদের উপস্থিতি বেশি হয়ে থাকে। তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে সেদিকে আমাদের নজর থাকবে। ঈদের পরে মানুষজন যখন ফিরে আসবে তাদের জন্য আমাদের একই ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া ঈদের সময় বাড়িঘর ফাঁকা রেখে মানুষজন গ্রামের বাড়ি চলে যাবেন, সেসব ফাঁকা বাড়িতে যেন চুরি না হয় সেদিকে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখব। মানুষের জান মালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় র্যাব ১১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন