সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল রোববার ভোলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামে ঈদুল ফিতর পালিত হবে। এসব এলাকার প্রায় ছয় হাজার পরিবার একদিন আগেই ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। সৌদী আরবে আজ চাঁদ দেখা যাওয়ায় জেলার নানা অঞ্চলের এ পরিবারগুলো কাল ঈদ উদযাপন করবেন।
জানা যায়, সুরেশ্বর পীরের মুরিদ ছাড়াও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভাণ্ডারি শরীফ পীরের মুরিদের পরিবারের সদস্যরা শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন।
আগামীকাল রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টায় জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামে খলিফা মজনু মিয়ার বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়া প্রায় সময়ই ঈদের জামায়াতের ইমামতি করতেন। গতবছর তার মৃত্যু হয়। তাই এবার ইমামতি করবেন, স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা সিহাবউদ্দিন।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, ভোলা জেলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় ৬ হাজার পরিবার রোববার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। তাই সকাল ৯টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামে মজনু মিয়ার নিজ বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
একই সঙ্গে একই গ্রামের চৌকিদার বাড়ির জামে মসজিদে সকাল ৯টায় এবং পঞ্চায়েত বাড়ির জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলার ছালাম মেম্বার বাড়ি, আব্দুল্লাহ মাঝি বাড়ি, লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালীর পশ্চিম পাশে পাটোয়ারী বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মাওলানা শিহান বলেন, ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম, লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাসগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলা গ্রামের প্রায় ছয় হাজার পরিবার প্রতি বছর একদিন আগেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
সুরেশ্বর পীরের মুরিদ জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলাউদ্দিন, সফিুল, রহমান ও আব্দুল খালেক মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের মতে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা এবং ঈদ পালন করা যায়। সে অনুযায়ী আমরা প্রতি বছর একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছি।
ভোলার পুলিশ সুপার শরীফুল হক জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলার যে কয়টি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সেখানে স্থানীয় থানা পুলিশের সমন্বয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন