পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বগুড়ায় দেড় হাজার মানুষের মাঝে উপহার বিতরণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২টায় শহরের বেতগাড়ি লিচুতলা এলাকায় শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলীর উদ্যোগে ঈদসামগ্রী স্বরূপ প্রতিটি পরিবারকে লাচ্ছা, সেমাই, চিনিসহ নানা সামগ্রীর সমন্বয়ে এই উপহার বিতরণ করা হয়।
তারেক রহমানের পক্ষে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা সবার হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি এই দেশের আপামর জনসাধারণের দল। সুদীর্ঘ বছর সরকারের জুলুম নির্যাতন সহ্য করেও বিএনপি জনগণের পাশে ছিল, আবার সাধারণ জনগণও সর্বদা তাদের সঙ্গেই থেকেছেন। সুদূর লন্ডনে বসেও মাহে রমজানের প্রতিটি দিন তাদের নেতা তারেক রহমান সাধারণ মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা করাসহ চেষ্টা করে যাচ্ছেন দলের নেতাকর্মীসহ আপামর জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোর।
বাদশা বলেন, ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহত পরিবারের জন্যেও আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন তারেক রহমান। ঈদকে সামনে রেখে তারেক রহমান প্রদত্ত এই উপহার পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের নানা নির্যাতন ও জুলুমের শিকার পরিশ্রমী নেতা হোসেন আলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোকলেছুর রহমান, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জামিনুর হাসান শাওন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিন তালুকদার, বাবু হোসেন, সাজু, শাকিল শেখ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফজলে রাব্বী, শহীদ, নূর আলম, জেলা শ্রমিকদলের কার্যকরী সদস্য আশরাফ আলী, মহিলা দলের নেত্রী পুতুল প্রমুখ।
আয়োজন প্রসঙ্গে বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী জানান, তাদের অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মাহে রমজানের প্রতিটি দিন সাধ্যমতো বগুড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এক কাতারে ইফতারের আয়োজন করেছেন। শুধু তাই নয় পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে সকলের ঘরে ঈদ আনন্দ পৌঁছে দিতে দেড় হাজার পরিবারের মাঝে তারা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার তুলে দিতে পেরেছেন যা তাদের কাছেও অত্যন্ত প্রশান্তির ও আনন্দের।
মন্তব্য করুন