সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩২
খান মাহমুদ আল রাফি, মেহেরপুর
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৯ এএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বহাল তবিয়তে মেহেরপুরের অনলাইন ক্যাসিনো কারবারিরা

পুরোনো ছবি
পুরোনো ছবি

কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না মেহেরপুরে ক্যাসিনো ব্যবসার। খোদ পুলিশ প্রশাসনের ইন্ধনেই এ অপরাধের বিস্তার লাভের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে সারাদেশে মেহেরপুর কেন্দ্রিক অনলাইন জুয়ার যে নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে দৈনিক কালবেলাসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়। তারপরও অভিযুক্তরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ও মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন বলেন, এরইমধ্যে অনলাইন জুয়ার রাজধানী হিসেবে মেহেরপুর জেলা পরিচিতি পেয়েছে। এটা খুবই লজ্জাজনক। আমার জানামতে এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তরা গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের কোনো প্রকার প্রতিবাদ করেনি বা আইনের আশ্রয় নেয়নি। এর থেকে প্রাথমিকভাবে এটাই প্রমাণিত হয়, খবরগুলোতে যাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে এ বিষয়ে তাদের স্পষ্টভাবে কিছু বলার নেই।’

তিনি বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ জানে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা অনলাইন জুয়ার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। মোনালিসার দেবর মৃদুল নিজে বলেছে তার ভাবি অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। পুলিশ মোনালিসাকে গ্রেপ্তার করেছে অথচ অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত কোনো মামলায় তার নামে দেওয়া হয়নি। এরকম বড় মাস্টারমাইন্ডের সাথে যদি এ ধরনের আচরণ চলতে থাকে তবে আগামীতে আরও অনেক পৃষ্ঠপোষক তৈরি হবে। আমি মেহেরপুর জেলার পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

সম্প্রতি কালবেলার হাতে আসা মেহেরপুর জেলা বিএনপির এক নেত্রীর ছেলের অনলাইন জুয়াতে জড়িত থাকার প্রমাণ সম্বলিত একটি ভিডিও দেখে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কালবেলার হাতে আসা ৯ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায় জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে শেখ শাহরিয়ার আহমেদ নামের এক ব্যক্তি তার লক হয়ে যাওয়া অনলাইন ক্যাসিনোর এজেন্ট চ্যানেলের অ্যাকাউন্টের টাকা ছাড়ের জন্য আবেদন করছেন।

আর অপর একটি স্ক্রিনশটে দেখা যায় মরফি মেইন নামক ওই ক্যাসিনো এজেন্ট চ্যানেলের অ্যাকাউন্টটিতে ব্যালেন্স হিসেবে রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সীর মাধ্যমে রাশিয়ায় পাচারকৃত ১ কোটি ২২ লাখ বাংলাদেশি টাকা।

শেখ শাহরিয়ার আহমেদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ২৩ নম্বর সদস্য মোছা. রোমানা আহমেদের ছেলে।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি দৈনিক কালবেলাতে রাজধানী মেহেরপুর, হেডকোয়ার্টার রাশিয়া শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে এলাকাভিত্তিক অনলাইন ক্যাসিনো এজেন্ট এবং তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের নাম উঠে আসে। এরপর কিছু এজেন্ট সাময়িকভাবে গা ঢাকা দিয়েছিল। এখন আবার তারা এলাকায় ফিরে এসে দুর্দান্ত প্রতাপে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে,কেউ কেউ অংশ নিচ্ছেন রাজনৈতিক সমাবেশে। কেউ আবার রাজনৈতিক সমাবেশে লোকের যোগান দিচ্ছেন।

কয়েকজন অবশ্য মেহেরপুর ছেড়ে অন্য জেলা থেকে ক্যাসিনো ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের আটক ও বিচারের আওতায় আনতে এখন পর্যন্ত জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, কালবেলায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে কয়েকজন এজেন্ট ও তাদের সম্পদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। অফিসিয়ালি সেগুলো পাঠানো হয়েছে।

পূর্বের প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলোআপে জানা যায়, কালবেলার প্রতিবেদনে পাঁচটি এজেন্ট অ্যাকাউন্ট রাশিয়া থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ৩ জন এজেন্টের ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে রাশিয়ায় পাচার করা প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা আটকে গেছে।

এ সময় কালবেলার হাতে আসে রেডি ও ম্যানেজমেন্ট অ্যাপসের আরও ২৩টি অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট। অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে রাশিয়ায় টাকা পাচার করার পর রাশিয়াতে প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি টাকার সমমূল্যে বর্তমান স্থিতির পরিমাণ এক কোটির বেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

প্রাপ্ত স্ক্রিনশটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অ্যাকাউন্টগুলো হলো- মরফি মেইন, আরিয়া মেইন, ভেনম মেইন, সাইবর্গ মেইন, মরফি টিম ওয়ান ও টিম টু, জুলর মেইন, মিরাহম্যান মেইন, নাটান মেইন, দাহাদ মেইন, মেসি মেইন, মেসি টিম ওয়ান, রুমন মেইন, ফিলার মেইন, পাওয়ার মেইন, রোজ মেইন, জনি মেইন, রুমন মেইন, নবাব মেইন, জলি মেইন, হাজবি মেইন এবং লেনিয়া। এছাড়াও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের কয়েকটি মার্চেন্ট ও পেমেন্ট সিম নম্বর পাওয়া গেছে। যেগুলো দিয়ে অনলাইন জুয়ার অর্থ লেনদেনের ব্যবহৃত হয়।

নম্বরগুলো হলো বৈশাখী ফটোকপির নামে নিবন্ধনকৃত ওয়ালেট ০১৭৩৯—৫৫০০৮৪, মেহেক এন্টারপ্রাইজের নামে ০১৯৯০—৯৮২২১৩, আল নূর ডেন্টাল কেয়ারের নামে নিবন্ধনকৃত ওয়ালেট ০১৩৩০—৮৫৬১৮৯ ও শতরূপা জুয়েলার্সের নামে ওয়ালেট ০১৩২৫—২৫২৪৫২।

এসব বিষয় নিয়ে মেহেরপুর জেলা পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কালবেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

সুশীল সমাজের অন্যতম প্রতিনিধি সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হলো অনলাইন জুয়ার রাজধানী মেহেরপুর আর হেডকোয়ার্টার হচ্ছে রাশিয়ায়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো যারা এ টাকা পাচারের হোতা তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এক সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাক হয়েছিল। সেই টাকা পরে ফিলিপাইনের একটি ক্যাসিনো থেকে রিকভার হয়েছিল। বিষয়টা দেশবাসীর জানা।’

তিনি বলেন, ‘যারা টাকা পাচার ও ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত তাদের সাথে রিজার্ভ চুরির কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। ক্যাসিনো এজেন্টদের মাধ্যমে দেশের যে টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, সেখান থেকে সামান্য কমিশন পেয়েই কিছু লোক হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। তাহলে কী পরিমান টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে সে হিসাবটা রাষ্ট্রের করা উচিত। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এদের প্রতি অত্যন্ত নমনীয় ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘সময় এসেছে এখন যারা সরকারের দায়িত্বে আছে তাদের এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি আমার দাবি অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে দ্রুত একটি শক্ত আইন প্রণয়নসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যাংকিং আইনকে আরও শক্ত করার।’

কালবেলায় প্রকাশিত সংবাদ এবং অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে যা বলছে মেহেরপুরের পুলিশ বিভাগ

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানাম কালবেলাকে বলেন, ‘গত ২১ জানুয়ারি দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত ‘রাজধানী মেহেরপুর, হেডকোয়ার্টার রাশিয়া’ শিরোনামের সংবাদটি জেলা পুলিশের নজরে এসেছে। প্রকাশিত সংবাদটি মেহেপুর জেলা পুলিশ খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং এ বিষয়ে কাজ করছে। কালবেলার প্রকাশিত সংবাদে যে সকল ক্যাসিনো এজেন্ট সম্পর্কে বলা হয়েছে তারা সংবাদ প্রকাশের পর থেকে আর এলাকায় বসবাস করে না। জেলা পুলিশের একাধিক টিম তাদের গতিবিধির উপর নজরদারি রেখেছে।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘কালবেলায় প্রকাশিত খবরে প্রধানত ২টি বিষয়ে বলা হয়েছে। একটি মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার ব্যাপকতা এবং অন্যটি অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে জুয়াড়ীদের অর্জিত সম্পদ। অনলাইন জুয়ার ব্যাপকতা প্রতিরোধে থানা পুলিশের পাশাপাশি আমার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কাজ করে যাচ্ছে। সাইবার পেট্টোলিং এর রিপোর্ট অনুসারে বর্তমানে দেশে যতগুলো অনলাইন জুয়ার চ্যানেল চলমান রয়েছে তার অধিকাংশ চ্যানেলই দেশের বিভিন্ন জেলায় চলছে। এ ছাড়া সংবাদে প্রকাশিত অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে জুয়াড়িদের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কাজ করবে।’

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে মেহেরপুর জেলায় অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন—২০১৮ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন—২০২৩ এ সর্বমোট ১০টি মামলা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় অতীতে ৫৭ জন অনলাইন জুয়াড়ীকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অনলাইন জুয়ারীদের বিরুদ্ধে সাইবার পেট্টোলিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে।’

পুলিশ সুপারের মতে অনলাইন জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের সীমাবদ্ধতাঃ

২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ৩০ (২) ধারা মোতাবেক অনলাইন জুয়ার অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অর্থাৎ মামলা নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। পরে ২০২৩ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিতক্রমে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন হলে ধারাটি অধর্তব্য অর্থাৎ Non Cognizable করা হয়। ফলে অনলাইন জুয়ার আসামিদের গ্রেপ্তার বা তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

সবশেষে তিনি বলেন, এখন আমরা অন্য পদ্ধতিতে এগোচ্ছি। এরইমধ্যে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের অভিযোগ গ্রহণের মাধ্যমে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ গেল স্বামীর, আহত স্ত্রী

বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার উপায় খুঁজছেন ট্রাম্প!

জেলেনস্কির খনিজ চুক্তি ইস্যুতে ট্রাম্পের নতুন হুঁশিয়ারি

জোকোভিচকে যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন মেসির ছেলে

বোমা হামলার হুমকি ট্রাম্পের, জবাবে প্রস্তুত ইরান?

আ.লীগের ফেরার সুযোগ নেই : মিল্লাত

ঈদে ১০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি

মার্কিন যুদ্ধবিমান এবং ইরান : ভারত মহাসাগরে কী ঘটতে চলেছে?

ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চে ধর্ষণের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি

১০

কতদিন নির্বাচন ছাড়া থাকা যাবে প্রশ্ন মির্জা আব্বাসের

১১

‘বাংলাদেশ ডে প্যারেড’ মাতাবেন জায়েদ খান

১২

ধোনির ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ধোঁয়াশার অবসান ঘটালেন ফ্লেমিং

১৩

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারজনকে কুপিয়ে জখম

১৪

ঈদে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

১৫

থানায় জিডি করলেন ভোক্তা অধিকারের জব্বার মন্ডল

১৬

বিশ্বকাপ বাছাই সামনে, মিরপুরেই ঈদ কাটালেন জ্যোতিরা

১৭

ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ

১৮

ঈদের জামাতের দোয়ায় খালেদা জিয়ার নাম না নেওয়ায় ইমামকে হুমকি

১৯

ঈদের নামাজ শেষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০
X