চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ডিলার ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. খবির মিয়াজির বাড়ি থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ওএমএসের চাল জব্দ করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৩টায় ওই ইউনিয়নের পাঁচআনি দেওয়ানকান্দি গ্রাম থেকে ছাত্রদল নেতা খবির মিয়াজির ঘর থেকে ছয় বস্তা চাল ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লটারির মাধ্যমে জহিরাবাদ ইউনিয়নের ওএমএসের ডিলারশিপের নিয়োগ পান ছাত্রদল নেতা খবির মিয়াজি। ডিলার খবির মিয়াজি সরকারিভাবে ওএমএসের চাল বিক্রি না করে গোপনে তার বাড়িতে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখেন। এ তথ্য পেয়ে এদিন খবির মিয়াজির বাড়ি অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার বাড়ি থেকে ওএমএসের ৬ বস্তা সরকারি চাল জব্দ ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় খবির মিয়াজিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়কের প্রভাব খাটিয়ে ডিলার খবির মিয়াজি বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছিলেন। তবে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পাননি।
মতলব উত্তর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান কালবেলাকে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে জহিরাবাদ ইউনিয়নের পাঁচআনি দেওয়ানকান্দি গ্রামে ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির ঘর থেকে ৬ বস্তা চাল ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্ধার করি। পরে ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে চালের বস্তা ও খালি বস্তাগুলো জহিরাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি গোলাম হোসেনের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপি নেতা মনির হোসেন জানান, যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। পাশাপাশি বিএনপির নেতাদের কাছে আহ্বান, যাতে এ বিষয়ে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জহিরাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী কালবেলাকে জানান, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি। অভিযুক্ত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি কালবেলাকে জানান, এ ঘটনায় আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন