জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, এই দেশটা কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের না। এ দেশে যারা বাস করে তাদের প্রত্যেকের দেশ এটা। তারা সবাই এ দেশের নাগরিক। এ দেশে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বাস করে। কেউ যেন মনে না করে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানে নৌকায় ভোট দেয়। যারাই আপনাদের পাশে দাঁড়াবে তাদেরই ভোট দেবেন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রানীগঞ্জ পটেশ্বরী কালীমন্দিরের দখল হওয়া জমি পরিদর্শনে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পঞ্চগড় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কল্যাণ কুমার ঘোষ, আটোয়ারী উপজেলা সভাপতি কমলেশ চন্দ্র এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সারজিস আলম বলেন, আমরা শুনেছি ৫ আগস্টের পরে অনেকেই বিনা দোষে বিভিন্ন অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকের স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে। এই কাজগুলো যারা করেছে তারা দখলবাজ, এদের রুখে দিতে হবে।
এদিকে, বিএনপির এক নেতার সঙ্গে সারজিস আলমের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
ওইদিন দুপুরে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সারজিস। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় এ নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমানের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
এ নিয়ে সারজিস আলম বলেন, সেখানে তেমন কিছু ঘটেনি। আমি আমার নিজ উপজেলায় মিটিং করছিলাম। উনি এসে জিজ্ঞাসা করছিলেন, আমি এই মিটিং করতে পারি কি না। আমি বলেছিলাম বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম মিটিং করতে পারলে আমি কেন পারব না। বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমান বলেন, আমি উপজেলা পরিষদে গিয়ে দেখি একটা মিটিং চলছে। সারজিস আলমও উপস্থিত ছিলেন। উনি তো এখন সেখানে মিটিং করতে পারেন না। মিটিং শেষে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করলে তারা কোনো উত্তর দেয়নি।
বিষয়টি নিয়ে আটোয়ারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ জেড এম বজলুর রহমান জাহিদ বলেন, সারজিস আলম একটি দলের নেতা হয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কখনোই গোপনে বৈঠক করতে পারেন না। তিনি অনধিকার চর্চা করেছেন। এভাবে তিনি একটা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছেন।
মন্তব্য করুন