বগুড়ার শেরপুরে প্রতারণার মাধ্যমে ৩৯৮ বস্তা আটা ও একটি ট্রাক আত্মসাৎ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আত্মসাৎকৃত মালামালসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার ৯০০ কেজি আটা ও প্রায় ১১ লাখ টাকা মূল্যের একটি ট্রাক।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৩টায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মৃত আ. গনি শেখের ছেলে বেলাল হোসেন (৪০) এবং আজগর হাজীর ছেলে মো. মোস্তফা (৩৮)। তারা দুজনেই বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাসিন্দা।
শেরপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২৬ মার্চ) উপজেলার গড়েরবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা কাওছার আহম্মেদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পেশায় একজন ট্রাক মালিক।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার মালিকানাধীন একটি ট্রাকের চালক বেলাল হোসেন ও হেলপার মোস্তফার কাছে ভাড়ায় পরিচালনার জন্য দেন। গত ২৪ মার্চ দুপুরে দড়িমুকুন্দ বাজার থেকে জনৈক শামীম শেখের কাছ থেকে ৩৯৮ বস্তা আটা লোড করে নন্দীগ্রাম কোয়ালিটি ফিড মিলে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা মালামাল গন্তব্যে না পৌঁছে আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে যায়।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কাওছার আহম্মেদ বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় ৩৯৮ বস্তা আটা ও আত্মসাৎ করা ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত প্রতিটি বস্তার ওজন ৫০ কেজি করে মোট ওজন ১৯ হাজার ৯০০ কেজি। আটার বাজারমূল্য আনুমানিক ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা এবং ট্রাকের মূল্য প্রায় ১১ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম কালবেলা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করি। তথ্যপ্রযুক্তি এবং সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সফল অভিযানে মালামাল উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন