সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের ৮০ কেজি করে চাল দেয় সরকার। তবে রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে চাল বিতরণে চাঁদা তোলার অভিযোগ তুলেছেন জেলেরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) উপজেলার বড়বাইশদিয়া চর হালিম লঞ্চঘাটে জেলেদের চাল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী জেলেদের অভিযোগ, চালের টোকেন নিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দেওয়া লাগছে। টাকা না দিলে কোনো টোকেন দেওয়া হয় না।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মতিউর রহমান জানান, ইউএনও স্যার ২০০ টাকা করে নিতে বলেছেন। ইউএনও স্যারের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাফর মিটিং করছেন।
২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইমাম জানান, ১০০ টাকা করে নিছি। বাকি সবাই আমার জানামতে ১০০ টাকা করে নিছে।
এ বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু জাফরের মোবাইলে ফোন করা হয়। তিনি কিছুই জানেন না বলে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি কিছু জানি না। আপনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হাসান বলেন, আমি অবগত নই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
জানা গেছে, উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে জেলে সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৭ জন। তাদের মধ্যে চাল বরাদ্দ হয়েছে ১৮৫০ জনের। উপজেলার রাঙ্গাবালী সদর, ছোটবাইশদিয়া, চরমেন্তাজ, বড়বাইশদিয়া, মৌডুবী, চালিতাবুনিয়া জেলের সংখ্যা প্রায় অর্ধলক্ষ। কিন্তু সরকারি তালিকায় নিবন্ধিত ১৬ হাজার জেলে পরিবারের জন্য ১ হাজার ৬০০ টন চাল বরাদ্দ আসে। এ নিষেধাজ্ঞার সময় থেকে চার মাস প্রতি জেলেরা চাল পাবে ১৬০ কেজি।
প্রসঙ্গত, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে সাগর-নদীর অভয়াশ্রমে মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন