পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে সাভার ও আশুলিয়ায় শিল্পকারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত থেকে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। চাপ বেশি থাকলেও যানজট নেই বললেই চলে। কয়েকটি স্থানে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিভিন্ন সময়ে মহাসড়ক দুটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে বিশমাইল পর্যন্ত এলাকাটিতে কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়।
সাভার বাসস্ট্যান্ড ও হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে সার্ভিস লেনে যানবাহনগুলোকে ধীরগতিতে চলতে দেখা যায়। সকালে নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছুটা যানজট দেখা যায়।
পিকআপে করে ঢাকায় মুরগি নিয়ে আসা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বগুড়া থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় গাড়ি ছেড়ে রাত ২টায় ঢাকা পৌঁছাই। এখন আবার যানজটে পড়লাম।
মো. আশিকুর রহমান বলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে রওনা দিয়ে নবীনগর গিয়ে এরপর টাঙ্গাইলের বাসে উঠবো ভেবেছিলাম। বিশ মাইল আসছি এখানে জ্যাম থাকায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দিছে। এখন নবীনগর গিয়ে আবার বাসে উঠবো।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার যানজট কম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম কালবেলাকে বলেন, শিল্পকারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে একদিন পরপর ছুটি ঘোষণা করায় এবার সড়কে যানজট কমেছে। এবার আমাদের ম্যানেজমেন্টও ভালো। এছাড়া সড়কে পুলিশ সদস্য ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। এসব কারণে মূলত সড়কে যানজট নেই। কাল কয়েকটি বড় তৈরি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করার কথা থাকায় যানজটের আশঙ্কা থাকলেও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।
মন্তব্য করুন