ঈদযাত্রায় চতুর্থ দিনে যমুনা সেতুতে স্বাভাবিক সময়ে চেয়ে দ্বিগুণ যানবাহন পারাপার হয়। যার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টা সেতুতে টোল আদায় হয় দুই কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। যমুনা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহর বাইপাস ও কালিহাতীর এলেঙ্গা এলাকায় দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি যানবাহন চলাচল করছে। তবে কোথাও যানজট নেই।
জানা যায়, ঢাকা টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে টাঙ্গাইলের অংশে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহন ও মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছে মানুষ।
এদিকে যমুনা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবির পাভেল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু পার হয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি যানবাহন। আর এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে বুথ রয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে সার্বক্ষণিক যানবাহন চলাচলের চেষ্টা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, সকাল থেকেই যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাত শতাধিক পুলিশ মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া মহাসড়ককে ৪টি সেক্টরে ভাগ করে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। রাজধানীর সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই মহাসড়কটি। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশ ৬৫ কিলোমিটার। ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের ভিড়ে এই মহাসড়কে সৃষ্টি হয় যানজট। প্রতিবছর ঈদে এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন, যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি হয়। এ সড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে।
মন্তব্য করুন