স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতার কথা বলছি, সেখানেও পূর্বের মত বিভিন্ন উপায়ে চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের মত ঘটনাগুলো চলমান আছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে এমন একটা পরিস্থিতিতে চলে এসেছি, অনেকে মনে করে চাঁদা দেওয়াটাও মনে হয় আমার দায়িত্ব। আমাকে যে কেউ একটা টোকেন ধরিয়ে দিল, আমাকে ৫০ টাকা, ১০০ টাকা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আবার যারা চাঁদা নেয়, তারা মনে করে এটা তার অধিকার। কারণ দীর্ঘদিন ধরে তো এভাবেই চলে আসছে, এখন কেন চলবে না। ওইসব চাঁদাবাজদের স্পষ্ট করে একটা বার্তা দিতে চাই, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর চাঁদাবাজির প্র্যাকটিস আর বরদাশত করা হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা জীবন দিয়েছে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য। সে বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পূর্ববর্তী সময়ের চাঁদাবাজি, মাদককারবারসহ যেই বিষয়গুলো তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করেছে সেগুলোকে খুব শক্ত হাতে দমন করা হবে। আমরা সারা দেশের তরুণ সমাজকে আহ্বান জানাতে চাই, আপনারা যেখানেই চাঁদাবাজ দেখবেন, বিভিন্ন সমিতির নামে টোকেনের মাধ্যমে টাকা নেওয়া হচ্ছে, সেখানেই প্রতিবাদ করবেন এবং রুঁখে দিবেন।
মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে তিনটি ইভেন্টে কয়েকশত প্রতিযোগী অংশ নেন। এর মধ্যে ১৬ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। পরে সেখান থেকে ৯ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার, পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, সমন্বয়ক উবায়দুল হক সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান ও গোলাম মোস্তফা।
মন্তব্য করুন