রাজশাহীর চারঘাটে গরিব-অসহায়দের জন্য সরকারি বরাদ্দের ঈদ উপহার ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমন্বয়কারী গ্রাম-আদালত প্রকল্পের ইমতিয়াজ আহমেদের অনুপস্থিতিতেই চাল বিতরণ শুরু করে পৌর কর্তৃপক্ষ।
যদিও ওই কর্মকর্তার দাবি এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি পৌর কর্তৃপক্ষ তাকে দেয়নি। তবে, শেষ মুহূর্তে ফোনে জানালে তিনি সেখানে উপস্থিত হন।
অন্যদিকে চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন।
চারঘাট পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ৩ দিনে ৯টি ওয়ার্ডের ৪ হাজার ৬১০টি ভিজিএফ কার্ডের অনুকূলে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার প্রথম ধাপে পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ চাল বিতরণ করা হয়। সেখানে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বালতির মাধ্যমে ৮-৯ কেজি চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এমনকি মাপার জন্য ডিজিটাল স্কেল মেশিন ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও সেটিকে তোয়াক্কা করছে না পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তারা ইচ্ছামতো প্লাস্টিকের বালতির মাধ্যমে মেপে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। অন্যদিকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সক্রিয় উপস্থিতি ও তদারকিতে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার প্রসঙ্গে পৌর কর্মকর্তারা বলেন, পৌর প্রশাসক চলতি দায়িত্বে ইউএনওর নির্দেশের তারা বালতি ব্যবহার করছেন।
চাল নিতে আসা একাধিক উপকারভোগীর অভিযোগ, প্রত্যেক ভিজিএফ কার্ডে ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ২ কেজি কম দেওয়া হচ্ছে বালতিতে মেপে। আবার অনেক হতদরিদ্রও কার্ড পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগী আমির হোসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক জান্নাতুল ফেরদৌস কালবেলাকে বলেন, কিছু অনিয়মের খবর আমার কাছে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে শুনেছি, কয়েকজন অসুস্থ ব্যক্তির চাল একত্রে করে ভ্যানে নিয়ে গেছে। আর কিছু জানি না।
মন্তব্য করুন