স্ত্রীর পর এবার ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের নানি রেহেনা বেগম তার নাতির বিরোধিতাকারীদের মারার হুমকি দিয়েছেন। যারা সাজ্জাদের বিরোধিতা করছে, তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে রেহেনা বেগম বলেন, ‘যত মারছে বলবে, তত মারব। আগে গোপনে মারতাম, এখন ওপেন মারব।’ সাজ্জাদকে এনে দিতে না পারলে সাংবাদিকদের ফাঁসিরও হুমকি দেন রেহেনা বেগম।
বুধবার (২৭ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘আগে গোপনে মারতাম, এখন ওপেন মারব।’
সাজ্জাদের নানিকে ভিডিওতে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘বুড়ি কে, আমার নাম রেহেনা। ওসি কে, কেন সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করেছে। হাতকড়া পরিয়েছে। কারা তার ফাঁসি চায়।’
পুলিশ জানায়, ছোটবেলায় সাজ্জাদের মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে তিনি নানির কাছে বড় হন। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত একটি মাদ্রাসায় পড়েন। পরে মুরগির দোকানে কাজ করেন। এরপর সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর দলে যোগ দেন।
সাজ্জাদকে ধরতে গত ৩০ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। এর আগের দিন ফেসবুক লাইভে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন সাজ্জাদ হোসেন।
খুনের মামলায় সাজ্জাদকে বর্তমানে চান্দগাঁও থানা-পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিংমল থেকে গ্রেপ্তার হন সাজ্জাদ। সেখানে কেনাকাটা করতে যাওয়া নারী উদ্যোক্তা রুমা আক্তার ও তার স্বামী পুলিশের পুরস্কার ঘোষিত সন্ত্রাসীকে দেখে চিনতে পেরে আশপাশের লোকজনকে জড়ো করে আটক করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সাজ্জাদকে আটক করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে চট্টগ্রামের দুটি খুনের মামলায় রিমান্ডে আনে পুলিশ।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান কালবেলাকে বলেন, সাজ্জাদের নানির ভিডিওর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন