ঈদযাত্রায় স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ভোরে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। যানজট নিরসন ও ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কে যানবাহন সংখ্যা ও মানুষের চাপ বেড়ে যায়। এতে চান্দনা চৌরাস্তায় গাড়ি চলাচল কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
এদিকে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। এতে এই পয়েন্টে গাড়ির চাপ বেড়েছে। গাড়ির চাপ থাকলেও এ অংশ স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
পুলিশ বলছে, যানজট নিরসনে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশ, পরিবহন সমিতির লোকজন সড়কে কাজ করছে।
জিএমপি কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষণ, মোটরসাইকেল পেট্রোলিং, কুইক রেসপন্স টিম ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে যানজট নিরসনে পুলিশের ৫শতাধিক সদস্যের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা এক যোগে কাজ করবে। এ সময় যাত্রীদের ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধও জানান কমিশনার। মহাসড়কে অটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি খোলা ট্রাক ও বাসের ছাদে যাত্রীদের ভ্রমণ না করতেও অনুরোধ জানান।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হলে বিকেল থেকেই যাত্রী চাপ বাড়বে। শুক্রবার ভোর থেকে পুরোপুরি ঈদযাত্রা শুরু হবে।
মন্তব্য করুন