গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার প্রয়াত আবদুল মান্নানকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২৩ মার্চ) নগরের বোয়ালিয়া থানায় আবদুল আলীম দুলাল নামের এক তরুণ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তিনি স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মামলার বাদী নাম আব্দুল আলীম দুলাল নগরের রাজপাড়া থানার মোল্লাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আব্দুল আলীম নগরের আলুপট্টি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে মামলায় দাবি করা হয়। মামলার প্রধান আসামি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশার ছেলে রুয়েট কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান দীপনকে। মামলায় মোট ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার ব্যাপারে কথা বলতে আব্দুল আলীমের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তার বড় ভাই শফিকুল ইসলাম ফোনটি ধরে বলেন, ‘আমার ভাই আব্দুল আলীম গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এ জন্য সে (ভাই) বাদী হয়ে মামলাটি করেছিল। তবে মামলায় মৃত ব্যক্তির নাম আছে কি না জানি না।’ এ নিয়ে তিনি রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। জসিম উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলা সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু জানেন না। আগে খোঁজ নিতে হবে। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে তিনি বলতে পারবেন।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, ‘আসামির তালিকায় মৃত ব্যক্তি আছেন কি না, তা আমার জানা নেই। এটা খোঁজ নিতে হবে। যদি এ রকম হয়, তাহলে আমরা যাচাই করব। মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের সময় অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন