ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ রমজান মাসে বন্দিদের ইফতারের তালিকায় মৌসুমি ফল তরমুজসহ অন্যান্য খাবার যোগ করে নজিরবিহীন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
জেল সুপারের তত্ত্বাবধানে বন্দিদের ইফতারে ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু, কলা, খেজুর, জিলাপির পাশাপাশি তরমুজ সরবরাহ করা হয়েছে। কারাগারের প্রায় ১,৩০০ বন্দি এই বিশেষ আয়োজনের সুবিধা পাচ্ছেন।
ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের ফলে বন্দিদের মুখে হাসি ফুটেছে। অনেক বন্দি আর্থিক অনটনের কারণে মৌসুমি ফল কিনে খেতে পারেন না। তবে কারা কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগ তাদের কাছে আনন্দের বার্তা হয়ে এসেছে। বন্দিরা জানিয়েছেন, এমন ইফতারের আয়োজন তাদের মানসিক শান্তি এনে দিয়েছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, জেল সুপার মো. শাহ আলম খানের নেতৃত্বে প্রতিদিন নিজে উপস্থিত থেকে ইফতার ও খাবার বিতরণ করেন কারা কর্মকর্তারা। সেহরির জন্য গরম খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। বন্দিদের খাবার, দেখা-সাক্ষাৎ, মোবাইলে কথা বলাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্প্রতি ছাড়া পাওয়া এক বন্দি বলেন, আমি যতদিন কারাগারে ছিলাম কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। কারাগারে পরিবেশিত খাবার ভালো ছিল। বিশেষ করে রমজান মাসের সেহেরি ও ইফতারে উন্নতমানের খাবার পেয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন বলেন, কারাগারে বন্দিদের অনুকূল পরিবেশ ছিল। আমাদের পরিবারের কোনো সদস্য যখন দেখা করতে আসত কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। কারাগারের ক্যান্টিনের ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত খাবার পেয়েছি। কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খুবই সহায়ক ছিল।
জেল সুপার মো. শাহ আলম খান বলেন, কারাগারকে সুশৃঙ্খল ও মাদকমুক্ত রাখতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্দিদের জন্য তারাবি নামাজ, সাপ্তাহিক জুমার নামাজ, খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। বন্দিরা বর্তমানে উন্নত পরিবেশে দিন কাটাচ্ছেন, যা জামিনপ্রাপ্তদের সাক্ষ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি বলেন, বন্দিদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমান আইজি প্রিজনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কারাগারকে একটি সত্যিকারের সংশোধনাগারে রূপান্তরিত করতে কাজ করছি।
মন্তব্য করুন