ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে সোনা চোরাচালান নিয়ে বিরোধের জেরে মতিয়ার রহমান মতি (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হন মতি। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের কামারবাড়ি মোড়ে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। আহত মতিয়ারকে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বাঘাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গুলিবিদ্ধ মতিয়ার রহমান জানান, ফজরের নামাজ পড়তে তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ তরিকুল ইসলাম আকালে, আকাশ, ইব্রাহীম ও ইসরাফিল হোসেন তাকে ঘিরে ধরে এবং গুলি চালায়। এতে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে মুসল্লিরা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় শাহজাহান আলী জানান, সোনা চোরাচালানের অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল তাদের। সেই দ্বন্দ্বের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সালের ১৭ জানুয়ারি বাঘাডাঙ্গা গ্রামে মন্টু ও তার ভাতিজা শামিমকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। হামলাকারীরা ওই মামলার আসামি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম জানান, ভোর ৫টার দিকে মতিয়ারের ওপর হামলা করা হয়। মতি হামলাকারীদের চিনেছেন। ডাবল হত্যা মামলার প্রধান আসামি তরিকুল ইসলাম আকালের সঙ্গে আগে থেকে মতিয়ারের হুন্ডি ও সোনা চোরাচালানের অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে তার ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলার আগে তরিকুল একাধিকবার মতিকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন