কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপির সাংগঠনিক সভাকে কেন্দ্র করে কামরুল হুদা গ্রুপ ও হিরণ মোল্লা-জুয়েল গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হুদা গ্রুপের হামলায় জেলা বিএনপির সদস্য হিরণ মোল্লাসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজারের পৌর মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী জোবায়ের, চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মুন্সীরহাট ইউনিয়ন যুবদল কর্মী সবুজ, শ্রীপুর ইউনিয়নের বাইক গ্রামের সাইফুল, একই ইউনিয়নের ছাত্রদল কর্মী ইউসুফ, জনি, যুবদল কর্মী ইকবাল, উজিরপুরের আইয়ুব, কালিকাপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন ও যুবদল কর্মী মহিন।
এদিকে চৌদ্দগ্রাম বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা সংঘর্ষের ঘটনায় তার নেতাকর্মীরা জড়িত নয় বলে জানান।
তবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল হোসেন জুয়েল দাবি করেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় কামরুল হুদা গ্রুপ ছাড়া যাতে অন্য ডেলিকেট প্রবেশ করতে না পারে তারা গেটে পাহারা বসায়। নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। আমাদের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আতর্কিত হামলায় আমরা সভাস্থলে প্রবেশ করতে না পেরে চলে আসি।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ বলেন, নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি সভায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তারা আমাকে লাঞ্ছিত করে এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। আমি মিলনায়তনে প্রবেশ করতে না পেরে আবুল খায়ের মার্কেটের সামনে এসে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করি। কিছুক্ষণ পর সেখানেও আমার ওপর হামলা করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন জানান, বিএনপির সাংগঠনিক সভায় দুপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির বিষয়ে শুনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।
মন্তব্য করুন