দীর্ঘ চার মাসেও সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঈদের পর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন।
রোববার (২৩ মার্চ) সাভারের হরিণধরা এলাকায় বিসিক চামড়া শিল্প নগরীতে অবস্থিত ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ ঘোষণা দেন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন।
চামড়া শ্রমিকরা বলেন, গত বছরের ২৪ নভেম্বর চামড়া শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। কিন্তু এত দিনেও তা কার্যকর হয়নি। অন্যান্য খাতে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার পরপর তা বাস্তবায়ন হলেও ট্যানারির মালিকরা তা করেননি। নানা বাহানায় মালিকপক্ষ শুধু সময় ক্ষেপণ করছেন। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
সমাবেশে চামড়া শিল্প নগরীর শতাধিক কারখানার কয়েক শ শ্রমিক অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেকসহ অন্য শ্রমিক নেতারা।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকার মালিক ও শ্রমিকপক্ষের ঐকমত্যের ভিত্তিতে গত বছরের ২১ নভেম্বর সরকার রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে। আইন অনুযায়ী ২১ নভেম্বর থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে আলোর মুখ দেখেনি আজও। যেহেতু ঐকমত্যের ভিত্তিতে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে, এখন এটি নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আর আলোচনার সুযোগ নেই।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন শ্রমিকদের সব ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের পক্ষে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা দেখেছি কিছু মালিক রয়েছেন, যারা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির বাস্তবায়ন চান না। তারা বিপথগামী। তারা এই শিল্পের উন্নয়ন চান না। তারা ভুল পথে গিয়ে কারও প্ররোচনায় এ শিল্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইলে এর দায় তাদেরই নিতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে কারখানা বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেন। তারা শ্রমিক অসন্তোষের দোষ দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেউলিয়া হওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এ সুযোগ আমরা তাদের দেব না। মজুরি আন্তরিক কারখানাগুলোকে ঈদের আগে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের সুযোগ দেওয়ার লক্ষে দাবি আদায় না হলে ঈদের পর শ্রমিকদের নিয়ে বসে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মন্তব্য করুন