লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ভোটমারী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামকে (৫০) মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক।
এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নেতা কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এর আগে শনিবার রাতে ভোটমারি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম স্থানীয় ভুল্যারহাট বাজার থেকে ফেরার পথে রাজু লেবু, শিপুসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয়রা ওই বিএনপি নেতাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামের ছেলে মুনানকে (২৮) নিয়ে স্থানীয় রাজু, লেবু, শিপুদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে বিএনপি নেতা শহিদুলকে একা পেয়ে রাজু, লেবু, শিপুসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয়রা ওই বিএনপি নেতাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজু, লেবু, শিপুসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে।
বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে রাজু, লেবু, শিপু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমার ওপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন করেছে। আমার ছেলেকে তারা বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন মামলা আদায় করা হয়েছিল সেই ক্ষোভ থেকে গত শনিবার রাতে তারা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
শহিদুলের ছেলে মুনান জানান, আমার বাবা স্থানীয় ভুল্যার হাট-বাজারে গেলে বাবাকে গতিরোধ করে রাজুসহ ১০/১৫ জন হামলা চালায়। পরে আমার বাবাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক কালবেলাকে জানান, এ বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন