গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। বাংলাদেশে তাদের আর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।
শনিবার (২২ মার্চ) গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, কিছু দিন আগে জাতিসংঘের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। সেই অপরাধের বিচারের সুপারিশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এই অপরাধে অপরাধী, তাদের বিচার হবে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হতে হবে। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী পালিয়ে ভারতে অবস্থান নিয়েছে। সেখান থেকে গুজব ছড়াচ্ছে, উসকানি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে নয়, তারা চাইলে ভারতে রাজনীতি করতে পারে। কারণ তারা বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশে তাদের আর রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই নানা ভাবে গুজব ছড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ চলে আসবে, তাদের বলবো আপনারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। সেই স্বপ্ন কোন দিন পূরণ হবে না। আওয়ামী লীগের ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা থাকলে তারা দেশ থেকে পালাত না। আওয়ামী লীগ ক্লিনিক্যালি ডেড, জীবিত হওয়ার সুযোগ নাই। সুতরাং আওয়ামী লীগ আর ফিরতে পারবে না।
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি আল আমিন সরদার। সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ মুজাহিদ শেখ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাআদ শিকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি তসলিম হোসাইন শিকদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের জেলা সেক্রেটারি আল আসুদ খান,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল দল গোপালগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান পলাশ, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ কাশিয়ানী উপজেলার সদস্য সচিব ডা. আহমেদ আলী, গণঅধিকার পরিষদ মুকসুদপুর উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী, গণঅধিকার পরিষদ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সভাপতি ডা. সাহেদ আলম, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মুনায়েম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন