ফেনীর দাগনভূঞায় ছাত্রদল নেতার বাড়ি থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। অভিযান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাকে বাড়ির পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদলের ওই নেতার বাড়ি থেকে এ আগ্নেয়াস্ত্র, বুলেট, ককটেল তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেয় সেনাবাহিনী, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
অভিযুক্ত আশরাফুল হাসান জাবেদ দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
অভিযান শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর দাগনভূঞার অস্থায়ী ক্যাম্প কমান্ডার মেজর শাহরিয়ার রহমান জানান, সেনাবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর শনিবার সকাল থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণে ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে দাগনভূঞা উপজেলার বিভিন্ন মাদক স্পটে ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। সে অভিযানের অংশ হিসেবে মাদক রয়েছে মর্মে দাগনভূঞা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রেজাউল হকের ছেলে আশরাফুল হাসান জাবেদের ঘরে অভিযান পরিচালনা করি।
তিনি আরও জানান, মাদক খুঁজতে গিয়ে তার থাকার ঘরে দুই রাউন্ড বুলেট পাই আমরা। বুলেট পাওয়ার পর অস্ত্র উদ্ধারে তাদের পুরো ঘর তল্লাশি করে তার বাড়ির ছাদ থেকে একটি দেশীয় হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়া দেশীয় ধারালো ছুরি ও ককটেল তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
অভিযানের আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ঘর থেকে পালিয়ে যান। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বাড়ির পাশ থেকে যৌথবাহিনী জাবেদকে গ্রেপ্তার করে। এ অভিযানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফেনী জোনের উপপরিচালক সোমেন মণ্ডল, দাগনভূঞা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিদুল ইসলাম ও দাগনভূঞা থানার ওসি লুৎফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর ছাত্রদল নেতা জাবেদ সাংবাদিকদের জানান, আমি দলীয় গ্রুপিং ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। এটি একটি নাটকীয় অভিযান হয়েছে।
এ বিষয়ে দাগনভূঞা থানার ওসি লুৎফুর রহমান কালবেলাকে জানান, ছাত্রদল নেতা জাবেদের বাড়ি থেকে দেশীয় হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন