বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন প্রেমিকা। বন্ধুর কাছে প্রেমিকাকে রেখে কাজী আনতে গেলে তাকে নিয়েই পালিয়ে যান সেই বন্ধু। অতঃপর অপহরণের মামলায় প্রেমিক ও তার বন্ধু ইলিয়াস খানকে যেতে হলো কারাগারে।
সোমবার (১৭ মার্চ) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল কুদ্দসের ছেলে আটোরিকশাচালক মো. হাসানের (২৯) সঙ্গে একই এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে হাসান ও তার প্রেমিকা পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
সে অনুযায়ী সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বন্ধু মো. ইলিয়াস খানের (২৩) সহায়তায় বাড়ি থেকে পালিয়ে ভান্ডারিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে আসেন তারা। সেখানে হাসান তার বন্ধু ইলিয়াস খানের কাছে প্রেমিকাকে রেখে কাজী আনতে যান। এই সুযোগে হাসান বন্ধুর প্রেমিকাকে নিয়ে পালায়। এরপর হাসান চেষ্টা করেও প্রেমিকা ও বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়। পরে ২১ মার্চ দুপুরে ইলিয়াস ও বন্ধুর প্রেমিকা ভান্ডারিয়া বাজারে কেনাকাটা করতে এলে স্বজনদের কাছে ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা তাবলিগ জামায়াতে নেত্রকোনা থাকায় এবং মা রাজি না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চৌকিদার মো. জামল আকন বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় অপহরণের মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ হাসান ও ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ আনওয়ার জানান, ওই কিশোরীকে অপহরণ করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে মামলায় হাসান ও ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছি।
মন্তব্য করুন